ঢাকা,মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪

রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ চুরি : এফবিআই

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
নিউইয়র্ক ফেডারেল রিজার্ভ থেকে বাংলাদেশ কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ৮ কোটি ১০ লাখ মার্কিন ডলার রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় চুরি গেছে। রিজার্ভ চুরির ঘটনা তদন্তের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট মার্কিন কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থার (এফবিআই) কর্মকর্তা ল্যামন্ত সিলার ফিলিপাইনে এ মন্তব্য করেছেন।

এফবিআই’র এই কর্মকর্তা ফিলিপাইনে নিযুক্ত মার্কিন দূতাবাসে লিগাল অ্যাটাশে হিসেবে কর্মরত আছেন। এ ব্যাপারে বিস্তারিত কোনো তথ্য তিনি না দিলেও ম্যানিলায় তার মন্তব্য শক্তিশালী বার্তা দিচ্ছে যে, বিশ্বের সর্ববৃহৎ রিজার্ভ চুরির একটি ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের নাম প্রকাশের কাছাকাছি পৌঁছেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।

গত সপ্তাহে ওয়াশিংটনে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক মার্কিন কর্মকর্তারা বাংলাদেশের রিজার্ভ চুরির জন্য উত্তর কোরিয়াকে দায়ী করেন।

সাইবার নিরাপত্তা ফোরামের এক বৈঠকে ল্যামন্ত সিলার বলেন, আমরা সবাই বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ চুরির ঘটনা জানি; যা ব্যাংকিং খাতে রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় হামলাগুলোর একটি উদাহরণ।

তদন্তের ব্যাপারে মার্কিন এক কর্মকর্তা গত সপ্তাহে ওয়াশিংটনে বার্তাসংস্থা রয়টার্সকে বলেন, এফবিআই মনে করে এই চুরির ঘটনার সঙ্গে উত্তর কোরিয়া জড়িত। মার্কিন এই কর্মকর্তা এ ব্যাপারে বিস্তারিত তথ্য দেননি।

ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মার্কিন আইনজীবীরা রিজার্ভ চুরির ঘটনার সঙ্গে সরাসরি সংশ্লিষ্টতা ও মধ্যস্থতার অভিযোগে উত্তর কোরিয়া এবং চীনের দালালদের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি নিচ্ছেন।

২০১৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে নিউইয়র্ক ফেডে বাংলাদেশ কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অ্যাকাউন্ট থেকে এক বিলিয়ন ডলার স্থানান্তরে বার্তা আদান-প্রদান ব্যবস্থা সুইফটে আক্রমণ করে হ্যাকাররা। সুইফটে ভুয়া বার্তা পাঠিয়ে তারা বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভের ৮ কোটি ১০ লাখ মার্কিন ডলার লুট করে।

বেশ কিছু অনুরোধ বাতিল করে দিলেও মার্কিন কেন্দ্রীয় ব্যাংক অর্থ স্থানান্তরে কয়েকটি অনুরোধে সাড়া দেয়। এর ফলে রিজার্ভের প্রায় ৮ কোটি ১০ লাখ ডলার ফিলিপাইনে রিজাল কমার্শিয়াল ব্যাংকের চারটি অ্যাকাউন্টে স্থানান্তর হয়। দ্রুত এই অর্থ উত্তোলনের পর হ্যাকাররা ফিলিপাইনের ক্যাসিনোতে তা উড়িয়ে দেয়। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি।

পাঠকের মতামত: